ইসলামিক শরিয়াহ আইনে অপরাধীদের শাস্তি দিতে বিচারদের নির্দেশ দিয়েছেন তালেবান প্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। এর মধ্যে জনসম্মুখে অঙ্গচ্ছেদ ও পাথর ছুড়ে মারার মতো সাজাও থাকতে পারে। খবর বিবিসির।
তালেবান প্রধানের মুখপাত্র বলেছেন, ডাকাতি, অপহরণ, রাষ্ট্রদ্রোহের মতো অপরাধের শাস্তি অবশ্যই ইসলামি শরিয়াহ আইনের অনুসারে হওয়া উচিত।
১৯৯০ সালে প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবানরা। ওই সময়ও তারা শরিয়াহ আইনের বাস্তবায়ন করে। এ নিয়ে নিন্দা জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক মহল।
২০ বছরের যুদ্ধ শেষে গত বছর ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নিয়েছে তালেবানরা। ওই সময় তারা তাদের পূর্বের অনেক নীতি নিয়ে শীতলতা দেখাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে নিজেদের আগের অবস্থানেই ফিরে যাচ্ছে তারা।
তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, যদি সংঘটিত অপরাধ শরিয়াহ আইনের লঙ্ঘন হয়, তাহলে বিচারকদের অবশ্যই শরিয়াহ অনুযায়ী অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে।
রোববার রাতে এক টুইট বার্তায় তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিনউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, একদল বিচারকের সঙ্গে আখুন্দজাদার দেখা করার পর বাধ্যতামূলক এই আদেশ এসেছে। চুরি, অপহরণ ও রাষ্ট্রদোহীতার মামলাগুলো সাবধানে পরীক্ষা করতে বিচারকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’
তবে কোন ধরনের অপরাধে কী শাস্তি হতে পারে, তালেবানের পক্ষ থেকে তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। আফগানিস্তানের একজন ধর্মীয় নেতা বিবিসিকে বলেছেন, শরিয়াহ আইনের আওতায় অপরাধীদের জনসমক্ষে অঙ্গচ্ছেদ, প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত ও পাথর ছোড়ার মতো শাস্তি দেওয়া হতে পারে।
বিবিসি বলছে, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তালেবানরা জনসাধারণের অধিকার ও স্বাধীনতার বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। বিচার ক্ষেত্রে তাদের সর্বশেষ নির্দেশ এমনটাই প্রমাণ করছে।